নিখোঁজের ৩ দিন পর ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার | Daily Chandni Bazar নিখোঁজের ৩ দিন পর ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২৫ ০০:০৯
নিখোঁজের ৩ দিন পর ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বগুড়ার শাজাহানপুর বোট ক্লাবের লেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সৌমিকের রহস্যজনক মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজের ৩ দিন পর ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

হাসিন রাইহান সৌমিক। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক বোট ক্লাবের লেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিন রাইহান সৌমিকের (৩০) লাশ পাওয়া গেছে। নিখোঁজের তিন দিন পর রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা লেকে তার ভাসমান মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম শফিক।

সৌমিক বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বোচারপুকুর গ্রামের তৌফিকুর রহমানের ছেলে হলেও তার পরিবার ঢাকার জলেশ্বরীতলা এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে সৌমিক উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সৌমিক বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার বাসা থেকে হাঁটতে বের হন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল এবং তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে থাকেন। শুক্রবার সকালে তার বাবা তৌফিকুর রহমান বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ওসি বলেন, “পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাকে খুঁজতে থাকলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। রোববার সকালে বোট ক্লাবের লেকে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।”

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। সন্দেহজনক কোন বিষয় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, সৌমিক ছিলেন শান্ত স্বভাবের এবং তার মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

স্থানীয় পুলিশ ও তদন্তকারীরা ঘটনার প্রতিটি দিক থেকে অনুসন্ধান করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছে। পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয় এবং নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার অপেক্ষায় আছেন।