কাজীপুরে ইউপি সচিবের অবহেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৯ লাখ টাকা ফেরত গেছে কোষাগারে | Daily Chandni Bazar কাজীপুরে ইউপি সচিবের অবহেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৯ লাখ টাকা ফেরত গেছে কোষাগারে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৫ ০০:৩৩
কাজীপুরে ইউপি সচিবের অবহেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৯ লাখ টাকা ফেরত গেছে কোষাগারে
উপজেলা সংবাদদাতা, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ

কাজীপুরে ইউপি সচিবের অবহেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৯ লাখ টাকা ফেরত গেছে কোষাগারে

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের অবহেলার কারণে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও বিল না ওঠায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা বলেন, ‘সচিব বিল সাবমিট না করায় জুন মাসের মধ্যে অর্থ ছাড় হয়নি। এতে করে সরকারি বরাদ্দ ফেরত গেছে।’ এ ঘটনায় সচিব রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্প ও বিল ফেরতের ঘটনা

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম কিস্তিতে শুভগাছা ইউনিয়নের রইবা হাওলাদার বাড়ি থেকে রতনশীলের বাড়ি পর্যন্ত ইউ-ড্রেন ও ঢাকনা নির্মাণে ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
পরবর্তী কিস্তিতে একই ইউনিয়নের দোয়েল নতুনপাড়া ভোলার বাড়ি থেকে নজরুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য আরও ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।

দুই প্রকল্পেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএমএস এন্টারপ্রাইজ কাজ করে। কাজের অগ্রগতি ও সমাপ্তি শেষে ৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকার চেক ইস্যু করা হলেও, ব্যাংকে টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয় এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চলে যায় কোষাগারে।

উপজেলা প্রশাসন বলছে— সচিব জানতেন না

শুভগাছা ইউপি প্রশাসক চিত্রা রানী সাহা বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এমনকি সাইট ভিজিটও হয়েছে। কিন্তু সচিব জুন মাসে বিল সাবমিট দেননি। তিনি অনলাইন ও বিল প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞ।’

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবু সাঈদ বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি। কিন্তু বিল না পাওয়ায় ঠিকাদার বিপাকে পড়েছে।’
আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করেছি। এখন টাকাটা না পেয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। বরাদ্দকৃত ভ্যাট, আইটি, রিটেনশন মানি সব ফেরত চলে গেছে।’

পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে আবেদন

এ পরিস্থিতিতে, বরাদ্দ ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (বিবিজি) এর প্রকল্প পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে পুনরায় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।

সচিবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি

সচিব রফিকুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।