পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার | Daily Chandni Bazar পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৫ ০২:২১
পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার
চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্কঃ

পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ‘রোমহর্ষক ও নৃশংসতম’ ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি জানিয়েছেন, দলের কোনো দুষ্কৃতিকারীর অপরাধের দায় বিএনপি বহন করবে না। পাশাপাশি, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য ওই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল জানায়, বহিষ্কৃত চারজন হলেন—

যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু),

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি),

চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস,

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কালু ওরফে ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, “তাদের কোনো অপরাধ বা অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন বহন করবে না।” তারা নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখতে।

অপরদিকে, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন জানান, অপু দাসের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে জনসমক্ষে পিটিয়ে, পাথর দিয়ে মাথা ও বুক থেঁতলে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্ক ও আলোচনা সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “ঘটনার পরই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। তথাপি বিএনপির ওপর দায় চাপানো হচ্ছে, যা নোংরা রাজনীতির অংশ মাত্র।”

বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে দল সেটিকে বরদাশত করবে না। আজ শুক্রবার তিনটি সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক বিরোধ ও পুরনো শত্রুতার জটিলতা রয়েছে। ইতিমধ্যে নিহত সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।