মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা: চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বই মূল কারণ, বলছে পুলিশ | Daily Chandni Bazar মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা: চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বই মূল কারণ, বলছে পুলিশ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৫ ১৫:৩১
মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা: চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বই মূল কারণ, বলছে পুলিশ
চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্টঃ

মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা: চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বই মূল কারণ, বলছে পুলিশ

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। হত্যাকাণ্ডের পেছনে চাঁদাবাজি নয়, বরং ভাঙারি দোকানের মালিকানা ও লেনদেন নিয়ে বিরোধই মূল কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ভাঙারির দোকানে কারা ব্যবসা করবে, তা নিয়ে বিরোধ এবং অর্থনৈতিক লেনদেন ঘিরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”

ডিসি জসীম উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাহিন নামের একজন এই মামলার প্রধান (১ নম্বর) আসামি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে আসামিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কি না—সেটি এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “সোহাগ হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিচয় বা চাপ বিচার না করেই তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে। রক্তাক্ত এই হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য পথচারীদের মোবাইল ফোন ও আশপাশের সিসিটিভিতে ধারণ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মুহূর্তেই তা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের বোন রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।