
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক বেলকা গ্রামে গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে আপন চাচা জিয়ারুল ইসলাম (৫০) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়ারুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী ও ছেলে, যাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পারিবারিক কলহ থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে গাছের আম খাওয়া নিয়ে প্রথমে তুচ্ছ কথাকাটাকাটি হয়। পরে সেটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রূপ নেয় এবং এক পর্যায়ে তা ভয়াবহ সংঘর্ষে পরিণত হয়। এ সময় জিয়ারুল ইসলামের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম (৩০) ধারালো ছুরি দিয়ে তার চাচার শরীরে একাধিক আঘাত করে।
জিয়ারুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার স্ত্রী ও ছেলে ছুটে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
শোক ও আতঙ্কে গ্রামবাসী
নিহতের মৃত্যুতে গোটা তালুক বেলকা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা এই হত্যাকাণ্ডকে ‘নির্মম’ ও ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে অভিহিত করেছেন।
পুলিশি ব্যবস্থা
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা সময় সংবাদকে জানান, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত ভাতিজা সাইফুল ইসলাম ঘটনার পরপরই পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনাটি পারিবারিক বিরোধজনিত। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”