লাল চাঁদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন, টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর | Daily Chandni Bazar লাল চাঁদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন, টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৫ ০৯:৫৫
লাল চাঁদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন, টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক

লাল চাঁদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন, টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মো. টিটন গাজী (৩২)-কে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। শনিবার বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পুলিশের আবেদনের পর এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আলোচিত এই মামলায় টিটন গাজীসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি চারজন হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮) এবং মনির ওরফে ছোট মনির (২৫)।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বৃহস্পতিবার মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। বর্তমানে তিনি কোতোয়ালি থানা হেফাজতে রয়েছেন। একই দিন অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে আজ (শনিবার) তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে লাল চাঁদ হত্যা মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার অন্য দুই আসামি আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।

গত বুধবার দুপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে লাল চাঁদকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল লোক। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হত্যার আগে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর ইট-পাথর ও লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয় এবং কয়েকজন হামলাকারী নিহতের শরীরের ওপর লাফিয়ে ওঠে।

এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে। মামলার সব আসামিকে আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলছে।