কলাপাড়ায় দেড় কোটি টাকার বেড়িবাঁধ মেরামতের ছয় মাসেই নদীতে বিলীন, দরকার স্থায়ী বাঁধ | Daily Chandni Bazar কলাপাড়ায় দেড় কোটি টাকার বেড়িবাঁধ মেরামতের ছয় মাসেই নদীতে বিলীন, দরকার স্থায়ী বাঁধ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৫ ২৩:১২
কলাপাড়ায় দেড় কোটি টাকার বেড়িবাঁধ মেরামতের ছয় মাসেই নদীতে বিলীন, দরকার স্থায়ী বাঁধ
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

কলাপাড়ায় দেড় কোটি টাকার বেড়িবাঁধ মেরামতের ছয় মাসেই নদীতে বিলীন, দরকার স্থায়ী বাঁধ

 পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাবনাবাদ নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে করমজাতলায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের ছয় মাসেই ফের নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে নেওয়া পদক্ষেপ ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রায় চার শ’ ফুট মূলবাঁধসহ রিভার সাইট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। 
   স্থানীয়রা জানান, গত মে মাসে জিওব্যাগ ও টিউব ধসে গেছে। শুক্রবারের জলোচ্ছ্বাসে ডেউয়ের তান্ডবে মূলবাঁধসহ নদীর পাস নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা আছেন চরম ঝুঁকিতে।
 
স্থানীয় বাসীন্দা ও দোকানি মো. রেজাউল  জানান, শুক্রবারের জলোচ্ছ্বাসে জিও টিউব জিওব্যাগসহ প্রায় চার শ’ ফুট বাঁধের টপসহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঢেউয়ের  ঝাপটায় সব শেষ, এখন বাঁধের মধ্যে পানি ঢুকতেছে। মেরামতের ছয় মাসেই এ অবস্থায় সবাই আতঙ্কে আছেন। বাঁধের যতটুকু আছে তাও আবার জলোচ্ছ্বাস বাড়ি দিলে সব ভেসে যাবে। ফলে তাঁদের বসতিও টিকবে না। বাঁধের পাশের বাসীন্দারা বলেন, বছরের পর বছর রাবনাবাদ নদী থেকে অসংখ্য ড্রেজারের বালু কাটায় এখানটায় ভাঙনের ঝুঁকি বহুগুনে বেড়েছে।
 
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, কলাপাড়া উপজেলার ৫৪/এ পোল্ডারের ১৩দশমিক শুণ্য কিলোমিটার থেকে ১৪ দশমিক ১২০ তম কিলোমিটার পর্যন্ত এক হাজার এক শ’ ২০ মিটার বেড়িবাঁধের ভাঙনরোধে জরুরি প্রটেকশন দেওয়ার জন্য জিওটিউব ও জিওব্যাগ স্থাপন করা হয়। এজন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। স্থানীয়ভাবে এটিকে করমজাতলা বলা হয়।
 
 এ কাজ দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার উপসহকারী প্রকৌশলী বিদ্যা রতন সরকার বলেন, ওই জায়গায়  রাবনাবাদের উত্তাল ঢেউয়ের কবল থেকে বেড়িবাঁধের ভাঙনরোধে ইমার্জেন্সি প্রটেকশন দেওয়ার জন্য জিওটিউব ও জিওব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। মাটির সংকট ছিল। অনেকদূর থেকে মাটি সংগ্রহ করতে হয়েছে। তারপরও সুন্দরভাবে করা হয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে কাজটি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মূলত করমজাতলার ওই স্পটটি খুবই ঝুকিপূর্ণ এলাকা। এজন্য ব্লক দিয়ে স্থায়ী প্রটেকশন দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে তারা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
 
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহআলম বলেন, মূলত ওই জায়গাটা খুবই ক্রিটিক্যাল জায়গা। ভেতরে জায়গা নেই। মাটি ও প্রয়োজনীয় জায়গা পাওয়া গেলে ওখানটায় স্থায়ী প্রটেকশনের জন্য বিকল্প বেড়িবাঁধ করতে হবে। নইলে ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করা সম্ভব নয়। তারপরও দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে কার্যকর ব্যবস্হা নেওয়ার কথা জানালেন তিনি। তবে ওখানটায় স্থায়ী প্রটেকশন দরকার রয়েছে বলেও জানান তিনি।