
বগুড়া জেলায় গত জুলাই মাসে ১৩টি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলার উপজেলাভিত্তিক দুর্ঘটনার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়।
উপজেলাভিত্তিক দুর্ঘটনার চিত্র
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাজাহানপুর উপজেলায় দুটি দুর্ঘটনায় মোট তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে একটি ভটভটি উল্টে গিয়ে চালক নিহত হন এবং অপর ঘটনায় যাত্রীবাহী বাস ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে দুইজন নিহত ও ১৬ জন আহত হন।
ধুনট উপজেলায় তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান পাঁচজন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন একজন মোটরসাইকেল চালক, এক শিশু এবং অটোরিকশার তিন যাত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আদমদীঘিতে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুজন আহত হন। নন্দীগ্রামে বাসচাপায় একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হন। বগুড়া সদরে অটোরিকশার ধাক্কায় মারা যান এক সাইকেল আরোহী। গাবতলীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ হারান একজন এবং আহত হন চারজন। সারিয়াকান্দিতে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে একজন পথচারীর মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া কাহালু ও শেরপুর উপজেলায় কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও যথাক্রমে ছয়জন ও তিনজন আহত হয়েছেন।
জাতীয় চিত্র
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুলাই মাসে সারা দেশে ৪১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংগঠনটির নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে।
দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ জোরদার করা,
চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ,
বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি,
স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস রোড নির্মাণ,
মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন,
গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন।
সংগঠনটি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, চালক ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত উদ্যোগ কামনা করেছে।