
নাগরিক টিভির বগুড়া প্রতিনিধি আব্দুর রহিমকে ফুটপাত দখলের সংবাদ প্রকাশের কারণে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি শহরের সাংবাদিক মহলে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের আনাচে কানাচের ফুটপাতগুলোতে অসংখ্য দোকান বসানোর কারণে শহরের যানজট, নিরাপত্তাহীনতা এবং চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল এবং নগর জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে নানা অভিযোগ করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সাংবাদিক আব্দুর রহিম ২০ আগস্ট বুধবার রাতে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও আপলোড করেন, যেখানে ফুটপাত দখলের ঘটনা ও প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানকে তুলে ধরা হয়। এই ভিডিও প্রকাশের পরেই বগুড়া শহরের পিডিবি রোড ও তার আশপাশের চা-দোকান ও অন্যান্য দোকানগুলোতে প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ফুটপাতের এক দোকানী আব্দুর রহিমকে হুমকি প্রদান করেন।
হুমকির ঘটনা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন ২৪ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তিনজন দোকানী আব্দুর রহিমের নাগরিক টিভির অফিসের সামনে এসে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। অভিযোগে বলা হয়, প্রধান আসামী মিলন মিয়া বলেছিলেন, “তোকে মারার জন্য তিন লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে। কাল থেকে আবারো দোকান বসাবো, আর পুলিশ আসলে তাদেরও হাত কেটে নেবো।” হুমকিতে অংশগ্রহণ করেন আরও দুই ব্যক্তি।
এই ঘটনায় দোকানীর ও প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটতে পারে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির সাংবাদিকদের জানান, “সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনার ফলে শহরের সাংবাদিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকরা বলছেন, শহরের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে জনগণের সংবাদ সঠিকভাবে পরিবেশন করা সম্ভব হবে না। তারা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।