
বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরনবী বর্তমানে তৃণমূল রাজনীতির অন্যতম আলোচিত নাম। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার সক্রিয় ভূমিকার পাশাপাশি তিনি এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
দলের কঠিন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সবসময় সামনের সারিতে ছিলেন। বিশেষ করে যখন অনেক নেতাকর্মী মাঠে সক্রিয় ছিলেন না, তখনও তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে দলের পতাকা ধরে রেখেছেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয় এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি ৬৫ দিন কারাভোগ করেন।
২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সাদা পোশাকে ডিবি তাকে আটক করে। পরে নন্দীগ্রাম থানায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় কারাগারে পাঠানো হয়। টানা ৪৯ দিন কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, নূরনবী দুঃসময়ে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভাঙা পা নিয়েও তিনি রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জুলাই আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষা, ক্রীড়া ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত আছেন।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান বলেন, “নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে নূরনবী নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দলের দুঃসময়ে ভাঙা পা নিয়েও তিনি সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার এই ত্যাগ ও নিষ্ঠা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করবেন।”