
স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি এবং চাকরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুমি আকতার কল্পনা (৩২)। তিনি নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈয়দপুর প্লাজার একটি চাইনিজ হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুমি আকতার। এসময় তাঁর নাবালক ছেলে, মা, ছোট বোনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সুমি আকতার অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী হাবিবুল্লাহ পায়েল (প্রাক্তন নৈশপ্রহরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস) বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন। চাকরি প্রত্যাশীরা প্রতারিত হয়ে তাদের বাসায় এসে খোঁজ করতেন। এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয় এবং স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙে যায়।
সুমি আকতার দাবি করেন, হাবিবুল্লাহ পায়েল বর্তমানে চাকরিচ্যুত। তবু তিনি কৌশলে তালাক দিয়েছেন বলে প্রচার চালালেও এখনো তালাকনামা হাতে পাননি তিনি। এ ছাড়া সাবেক স্বামী স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় তাঁর বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁকে বাড়িছাড়া করেছেন এবং নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, পায়েলের সহযোগিতায় অফিসের কয়েকজন কর্মচারী—আব্দুর নূর, আবু তালেব, মো. মামুন, মেজবাউল হক, মতিয়ার রহমান, শ্যামল কুমার, মানিক হোসেন ও মো. লিমন—তাঁকে কর্মস্থলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে চাকরিতে উপস্থিত হতে বাধা দিচ্ছেন এবং চাকরি থেকে অপসারণের ষড়যন্ত্র করছেন।
সুমি আকতার বলেন, “আমি যদি চাকরি হারাই, তবে আমার নাবালক ছেলে, বৃদ্ধ মা, ছোট বোনসহ চার সদস্যের পরিবার রাস্তায় বসে যাবে। আমি ন্যায়বিচার চাই, প্রশাসন ও সমাজের নীতিনির্ধারকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।”