
রংপুর নগরীর একটি স্বর্ণের দোকান থেকে অভিনব কৌশলে ১০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা নারী চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও মুগদা এলাকায় পৃথক অভিযানে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—যশোর জেলার অভয়নগর থানার কুবরাই এলাকার মৃত মোন্তাজ গাজীর মেয়ে হীরা পারভীন (৪৭), রিপা পারভীন (৪০), ঢাকার মুগদা থানার মান্ডা এলাকার শারমিন বিউটি (৪৩), কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার তাসলিমা বেগম (৫৫) ও কুষ্টিয়ার দর্শনা থানার রুনু বেগম (৪৫)।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অশোক কুমার চৌহান গ্রেপ্তারের বিষয়টি রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
চুরির ঘটনা
গত ১৪ মে দুপুরে নগরীর বেতপট্টি এলাকার ‘লক্ষ্মী জুয়েলার্স’ থেকে দিনদুপুরে প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। দোকান মালিকের অভিযোগ অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংঘবদ্ধ নারী চক্রটি দুটি দলে বিভক্ত হয়ে দোকানে প্রবেশ করে। গহনা দেখার নামে কর্মচারীদের ব্যস্ত রাখে এবং একাধিকবার গহনা ওয়াশ করানোর কথা বলে একজন কর্মচারীকে বাইরে পাঠায়।
দুপুর দেড়টার দিকে কর্মচারীদের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের পাশে রাখা স্বর্ণের স্টক বক্স নিয়ে সটকে পড়ে চক্রটি। চুরি হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানান দোকান মালিক।
তদন্ত ও অভিযান
ঘটনার পরদিন দোকান মালিক কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর নগরীর বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও দীর্ঘ গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে চার মাস পর চক্রের মূল সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক অশোক কুমার চৌহান। এসময় এসআই প্রণয় কৃষ্ণ, এসআই মমিনুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল অংশ নেয়।
পুলিশের বক্তব্য
পরিদর্শক অশোক কুমার চৌহান বলেন, “গ্রেপ্তার পাঁচজন আন্তঃজেলা চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা অভিনব কৌশলে স্বর্ণ চুরি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেছে। চুরি হওয়া ১০০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”