যমুনার গর্জনে গ্রাস হচ্ছে শহরাবাড়ি ঘাট - আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ | Daily Chandni Bazar যমুনার গর্জনে গ্রাস হচ্ছে শহরাবাড়ি ঘাট - আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:২১
যমুনার গর্জনে গ্রাস হচ্ছে শহরাবাড়ি ঘাট - আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক

যমুনার গর্জনে গ্রাস হচ্ছে শহরাবাড়ি ঘাট - আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহরাবাড়ি ঘাট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বন্দরের একাংশ। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে পরে দ্রুত নেমে যায়। পানির এই ওঠানামার ফলে নদীর পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল স্রোত, আর সেই স্রোতে ভেঙে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, জমি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ বিঘা জমি এবং একাধিক দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যমুনার পাড় ঘেঁষে থাকা অনেক পরিবার ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। ধসে পড়ছে ঘাট এলাকার দোকানপাট ও স্থাপনা। ভাঙন এখন দ্রুত এগিয়ে আসছে রক্ষা বাঁধের দিকেও। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের শত শত মানুষের।

এদিকে, নদীর ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে যমুনার বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে গাছের গুড়ি, ভাঙা ঘরের টিন, বাঁশের টুকরো আর মানুষের কান্না। একসময়কার ব্যস্ত শহরাবাড়ি বন্দর এখন ভাঙনের শিকার হয়ে পরিণত হচ্ছে পরিত্যক্ত জনপদে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণেই যমুনার ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিনরাত চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব, কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা জানান, বহুবার অভিযোগ করেও কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি; বরং আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই শতাধিক দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, “ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি এলাকায় যমুনার ভাঙন রোধে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পানি কমে গেলে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”