
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে গেছে— এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা এবং রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেউই এ ধরনের কোনো ঘটনার তথ্য জানেন না।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর মমতা ট্রেডিং কোম্পানির কথিত কর্মকর্তা সরকার বিপ্লব হোসাইন দাবি করেন, রাশিয়া থেকে আনা রূপপুর প্রকল্পের ১৮ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আগুনে পুড়ে গেছে, যা এনওসি জটিলতার কারণে খালাস করা সম্ভব হয়নি।
তবে মমতা ট্রেডিংয়ের কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমরা রূপপুর প্রকল্পের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নই। বিপ্লব হোসাইন নামে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কেউ কাজ করেন না।”
রূপপুর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রকল্পের মালামাল সাধারণত পানিপথে আনা হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ বিমানে এলে সেগুলো রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকে, যতক্ষণ না প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।
একজন কর্মকর্তা জানান, “ঘটনার পর রাশিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, মমতা ট্রেডিং নামে কোনো সাব-কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে তাদের চুক্তি নেই।”
তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু স্থানীয় সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ দিয়ে থাকে, যারা আবার অন্য প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে পারে। এতে প্রকৃত মালিকানা ও উৎস নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এখন পর্যন্ত রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, পাবনার ঈশ্বরদীতে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিতব্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ইউনিটে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এর প্রথম ইউনিটে বর্তমানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে।