সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রেমিক যুগলকে আটক করা হলেও পূর্বশত্রুতার জেরে একই গ্রামের চার কলেজ শিক্ষার্থীর নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ অক্টোবর রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বাশুড়িয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে মুক্তা ও পাশের গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে বায়জিদ দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।
সেদিন রাতে বায়জিদ সুযোগ বুঝে মুক্তার বাড়িতে প্রবেশ করলে স্থানীয়রা তাদের ঘরের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী শতাধিক লোক মুক্তার বাড়িতে জড়ো হন।
এরপর মুক্তার মা মোছা ফরিদা বেগম ১২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় চার কলেজ শিক্ষার্থীকে— ইউনুস খান, নাইম শেখ, সাব্বির হোসেন ও আব্দুল হাকিমকে।
অভিযুক্তরা অভিযোগ করেন,
“আমরা শুধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু পূর্বশত্রুতার কারণে প্রকৃত অভিযুক্ত বায়জিদকে বাদ দিয়ে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। এতে আমাদের সামাজিক সুনাম নষ্ট হয়েছে।”
অন্যদিকে, মামলার বাদী ফরিদা বেগম দাবি করেন,
“বায়জিদ বয়সে কম হওয়ায় তার নামে মামলা করা হয়নি। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।”
পিবিআই সিরাজগঞ্জের সাব-ইনস্পেক্টর সাগর জানান, আদালত থেকে মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো মামলার নথি হাতে পাননি। নথি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মানহানির বিচার দাবি করেছেন।