রাজধানীর শাহবাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একটি দল বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়। বিকেল তিনটার দিকে তারা ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি’ পালন করতে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন।

এরপর বিকেল চারটার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করেছে ডিএমপি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।

ডিএমপি আরও জানায়, যমুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও সংলগ্ন এলাকায় পূর্বেই সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল।

পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন—

“রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বর্ণিত এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।”