‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়’ — জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান | Daily Chandni Bazar ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়’ — জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়’ — জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়’ — জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না।” মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “যারা জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে নারাজ, তাদের জন্য ২৬ তারিখে কোনো নির্বাচন নেই। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির পাটাতন তৈরি হবে। যারা জুলাইয়ের চেতনার প্রতি সম্মান রাখতে পারে না, তারা জাতির মতামতকেও সম্মান জানাবে না।”

জামায়াত আমির আরও বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। জুলাই সনদে জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। তাই জনগণের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

 

গণভোট ছাড়া নির্বাচন নয়: গোলাম মিয়া পরওয়ার

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম মিয়া পরওয়ার বলেন,
“সাংবিধানিক সংস্কারের আইনি ভিত্তি কেবল গণভোটের মাধ্যমেই সম্ভব। অন্যথায় জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদানসহ পাঁচ দফা গণদাবিই আজকের এই জনসমাবেশের মূল উদ্দেশ্য।”

 

‘গণভোটের ধারা শেখ হাসিনাই বাতিল করেছিলেন’ — হামিদুর রহমান আযাদ

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন,
“অনেকে বলছেন সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই— আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করে গণভোটের ধারা বাতিল করেছিলেন। এখন যারা বলেন সংবিধানে গণভোট নেই, তারা কি তাহলে হাসিনার সুরে কথা বলেন না?”

তিনি আরও বলেন,
“সংবিধানে পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের কথা লেখা আছে। ২০২৪ সালে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে আবার নির্বাচন হবে— তা সংবিধানের কোথায় লেখা? সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন ২০২৯ সালেই হওয়া উচিত।”

 

আট দলের অংশগ্রহণ

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (এনডিপি)-এর নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।