আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে বাংলাদেশে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠিত হবে।
জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ (সেনেট) গঠন করা হবে। ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনের জন্য এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে গণভোট নেওয়া হবে যাতে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক, সাশ্রয়ী ও উৎসবমুখর হয়।”
অধ্যাপক ইউনূস জানান, গণভোটে চারটি বিষয়ে একটি প্রশ্ন রাখা হবে—
-নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন,
-দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন,
-নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ সীমিতকরণসহ ৩০ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন,
- জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার বাস্তবায়ন।
ভাষণে তিনি বলেন, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘হ্যাঁ’ ভোট পেলে সংসদে প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে, যা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবে। পরে ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন হবে।
অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অভ্যুত্থান-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি, বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফিরেছে।” এছাড়া আগামী সপ্তাহে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পে ইউরোপের মায়ার্স্ক গ্রুপের সঙ্গে ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।
শেষে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটি হবে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা।”