প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
চিলাহাটিতে সেরা ১০ মেধাবীকে সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান
মোঃ মাইনুল হক, নীলফামারী
নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে মনোয়ার হোসেন মনোমিয়া বৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং উইল পাওয়ার ইহস্কুলের সার্বিক আয়োজনে বর্ণাঢ্য মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে চিলাহাটির ফিউচার প্রি-ক্যাডেট একাডেমি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় চিলাহাটি ও আশপাশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। পরীক্ষার পরিবেশ ছিল শান্ত ও সুশৃঙ্খল। শিক্ষক, অভিভাবক ও আয়োজকদের সহযোগিতায় পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা শেষে মূল্যায়ন করে সেরা ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে আমবাড়ী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে সালমা মিম, যাকে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি নতুন সাইকেল প্রদান করা হয়। মিম তার আনন্দ প্রকাশ করে জানায়—এ অর্জন তাকে ভবিষ্যতে আরও মনোযোগী হতে অনুপ্রাণিত করবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মনোয়ার হোসেন মনোমিয়া বৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী মনোয়ার কলিংস বলেন- গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে আমাদের এই মেধাবৃত্তি কার্যক্রম। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন সুযোগ পায়—এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই এই অঞ্চল থেকে ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা উঠে আসুক। তিনি আরও জানান- ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এবং আরও বেশি শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করে এ ধরনের বৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। উইল পাওয়ার ইহস্কুলের পরিচালক এ.এইচ. বাবু পাটোয়ারী বলেন- শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থায় বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যারা আজ অংশ নিয়েছে তারা সবাই আমাদের কাছে বিজয়ী। আমরা আগামী বছর আরও উন্নত আয়োজনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এলাকার গুণীজনরা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস আর আনন্দের ঝলক। পুরো চিলাহাটি এলাকায় দিনটি পরিণত হয়েছিল ছোটদের মেধা উৎসবে।