বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, থানায় নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, থানায় নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪৬
বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, থানায় নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, থানায় নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি

বগুড়ায় বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ) বগুড়া বাস ডিপোর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে একদল দুর্বৃত্ত। তাঁকে পিটিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার না করে হাসপাতালে পাঠায়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বগুড়া বিআরটিসি বাস ডিপো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর হোসেন জানান, রাত ৯টার দিকে তিনি ডিপোর অফিসে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকজন যুবক তাঁকে অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। এ সময় তাঁর প্যান্টের পকেটে থাকা অফিসের ৩৩ হাজার ৯০০ টাকা, ব্যক্তিগত ১৯ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে কিছু লোক তাঁকে সদর থানায় নিয়ে যায়, সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, “আমি একসময় বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বর্তমানে কমিটি নেই। কী কারণে আমাকে মারধর করা হলো তা বুঝতে পারছি না।”

বিআরটিসি ডিপোর কয়েকজন কর্মচারী জানান, আলমগীর হোসেন বিআরটিসির চালক হলেও তিনি নিজে বাস চালান না; বহিরাগত চালকেরা তাঁর নামে বরাদ্দ করা বাস চালান। ডিপো ম্যানেজারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর প্রভাব আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিপোতে বাসের চাঁদা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে এই হামলা হতে পারে বলে তাঁরা জানান।

এ বিষয়ে জানতে ডিপো ম্যানেজার শাহিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে ও বার্তায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, “মব সৃষ্টি করে আলমগীরকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাঁর নামে কোনো মামলা নেই। ডিপোর লোকজন তাঁকে থানায় এনেছিল, পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সরকারি কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।”