প্রকাশিত : ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:৫৩
সলঙ্গায় লাবনী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
উপজেলা সংবাদদাতা, সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জঃ
সলঙ্গায় ধুবিল কাটার মহলের গৃহবধূ লাবনী (২৬) হত্যাকাণ্ডের জট খুলেছে। প্রেমঘটিত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিলনকে গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহত লাবনী ধুবিল কাটার মহলের আব্দুল কাইয়ুম রিগানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় গৃহবধুর বাবা গোলাম মোস্তফা গত ৩০ নভেম্বর সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিয়ের আগের প্রেমই কাল হলো
পারিবারিক সূত্র জানায়,২০১৭ সালে লাবনীর বিয়ে হয় রিগানের সাথে। দাম্পত্য জীবনে ২ টি সন্তানও রয়েছে তাদের পরিবারে।বিয়ের পূর্বেই লাবনীর সঙ্গে থানার বড়গোজা গ্রামের মিলনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।যা বিয়ের পরেও চলমান ছিল।
সূত্রে জানা যায়,স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে লাবনী তার পরকিয়া প্রেমিক মিলনকে ২৯ নভেম্বর বাসায় আসতে বলেন।একান্তে শুরু করে ঘনিষ্ঠতা।ইতিমধ্যে ফোন আসে মিলনের বাড়ি থেকে। মিলন দ্রুত বাড়িতে যেতে চাইলে বাধা দেয় লাবণী।দ্বিতীয়বার শারীরিক সম্পর্কে মিলন রাজি না হওয়ায় ঝগড়া চরমে পৌঁছে। হাতাহাতির একপর্যায়ে মিলন লাবনীর গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়।এরপর মিলন ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা লাবনীর ভাগ্নীকে ডেকে বলে,“লাবনী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।” তারপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
রাত পৌনে ৪টার দিকে লাবনীর ভাগ্নী বিষয়টি তার বাবাকে জানালে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে।পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মিলনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মিলন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
এ সময় মিলনের কাছ থেকে লাবনীর চার ভরি স্বর্ণালংকারও উদ্ধার হয়।
সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান,“প্রথমে গৃহবধুর অভিভাবক আত্মহত্যা মনে করায় ইউডি মামলা হয়। আত্মহত্যার ঘটনাটি পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে পরকীয়া প্রেমিক মিলনকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করলে সে লাবণী হত্যার দায় স্বীকার করে।