বগুড়ায় সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক ফাবিহা তাসনিম সিধি (২৯)-এর মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের চক ফরিদ এলাকার একটি ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফাবিহা এক বছর ছয় মাস আগে শাহ সুলতান কলেজে যোগ দেন। তিনি ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া বাসায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তার মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে চলে যান।
মায়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ না পাওয়ায় রাত ১০টার দিকে তিনি বগুড়ায় আসেন। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাথরুমে ফাবিয়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রাথমিকভাবে পরিবার দাবি করেছে—বাথরুমে পা পিছলে পড়ে মাথায় আঘাত লাগার কারণে সিধির মৃত্যু হয়েছে এবং এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও কয়েকটি শারীরিক চিহ্ন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যা মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ জানায়, মৃত্যুর সময় ফাবিয়ার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া জিভে দাঁতের দাগও লক্ষ্য করা গেছে।
খবর পাওয়ার পর ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, “ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
হঠাৎ এই মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক নেমে এসেছে। কলেজ ক্যাম্পাসেও নেমে এসেছে গভীর স্তব্ধতা।