ভেনিজুয়েলা থেকে সব কূটনীতিক প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের
![ভেনিজুয়েলা থেকে সব কূটনীতিক প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের](./assets/news_images/2019/03/15/CB_15032019_43.jpg)
ভেনিজুয়েলায় থাকা অবশিষ্ট মার্কিন কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ তথ্য জানান। একই দিন ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো দাবি করেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে বাণিজ্যিক স্বার্থেই সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া ও চীন।
এদিকে, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কারাকাসসহ দেশটির বেশির ভাগ এলাকায়।
ভেনিজুয়েলার ইতিহাসের দীর্ঘতম ব্ল্যাক আউট অবশেষে কাটতে শুরু করেছে। টানা এক সপ্তাহ ধরে চলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থা থেকে মুক্তি মিলছে। একই সঙ্গে, পানির সরবরাহ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কারাকাসসহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয় একজন বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয়দের সাহায্য করছেন। প্রত্যেককেই পর্যাপ্ত পানি দিচ্ছেন। যে যতো খুশি, পানি নিয়ে যেতে পারছেন এখান থেকে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ অ্যারেজা। এসময় তিনি বলেন, দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় মাদুরো সরকারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চললে যুদ্ধে অবশ্যই মাদুরো সরকারের জয় হবে বলে মন্তব্য করেন ল্যাভরভ।
তবে ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোর দাবি, নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন করছে না চীন বা রাশিয়া। কারাকাসে বিরোধী দলের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ দাবি করেন।
এদিকে মার্কিন প্রশাসনের নির্দেশে ভেনিজুয়েলায় থাকা অবশিষ্ট কূটনীতিকরা কারাকাস ত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, ওয়াশিংটনে ফিরে আসা কূটনীতিকরা এখন অন্য কোথাও থেকে ভেনিজুয়েলার মানুষের সহায়তায় কাজ করবে।