ব্রুনাইয়ের নতুন আইনের সমালোচনায় জাতিসংঘ
সম্প্রতি ব্রুনাই সমকামিতা, বিবাহ বহিভূত যৌন সম্পর্ক এবং ধর্ষণের জন্য ওই কঠোর ইসলামিক শরীয়া আইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে চুরির জন্য অঙ্গচ্ছেদের মত বর্বর শাস্তিও চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে নতুন এ আইনটি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। এ আইন প্রত্যাহার করার আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।
ব্রুনাইয়ের নতুন আইনটি নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তনিও গুতেরেস পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। তিনি বলেন, অনুমোদিত আইনটি এই নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রতিটি মানুষেরই স্বাধীনভাবে সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে বাঁচার এখতিয়ার আছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনানুযায়ী, যে কোনো পরিস্থিতিতে পাথর ছোড়া, অঙ্গচ্ছেদ অথবা বেত্রাঘাত, আইনি সংস্থাগুলোর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ সব ধরনের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তনিও গুতেরেস মনে করেন, যে কোনোখানে কোনোরকম বৈষম্য না করে প্রতিটি মানুষের জন্যই মানবাধিকার সমুন্নত রাখা উচিত।’
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইডস-এর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল সিডিবি এ আইন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ আইনের অত্যন্ত কঠোর ও অহেতুক শাস্তি মানুষকে পালাতে বাধ্য করবে এবং তারা জীবন রক্ষাকারী এইচআইভি চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বাইরে চলে যাবে।’