প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ২০:১২

কলকাতায় ভাগ্নিকে ধর্ষণের দায়ে মামার ১৫ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
কলকাতায় ভাগ্নিকে ধর্ষণের দায়ে মামার ১৫ বছরের কারাদণ্ড

কিশোরী ভাগ্নিকে ধর্ষণের দায়ে তার মামাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের কলকাতার আলিপুরের একটি আদালত। গতকাল বুধবার বিচারক সোনিয়া মজুমদার ওই রায় দেন। কারাবাসের পাশাপাশি তার আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চে কিশোরীর দাদি চেতলা থানায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, তার নাতনিকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে মগরাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মায়ের কাছেই থাকত মেয়েটি। দোষী ব্যক্তি ওই নারীর জেঠাতো ভাই। পুলিশের কাছে অভিযোগে মেয়েটির দাদি জানিয়েছেন, মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই ব্যক্তি এসে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।

তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, মেয়েটির মা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মেয়ে বহু বার তাকে ঘটনাটি জানালেও তিনি লোকলজ্জার ভয়ে বারবার তা এড়িয়ে যেতেন। শেষে ২০১৬ সালের মার্চে কিশোরী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই পুরো ঘটনা জানাজানি হয়।

পরে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর দাদি। পুলিশ বলছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর মা তার মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে রাজি হননি। নাতনির পড়াশোনা-সহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করার সামর্থ্য দাদিরও ছিল না। এই পরিস্থিতিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে কিশোরীকে হোমে পাঠায় পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, এখন হোমেই পড়াশোনা করছে কিশোরী।

সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় ও মাধবী ঘোষ মাইতি বলেন, অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলেছে। ওই নাবালিকাকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

উপরে