প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০১৯ ১৮:১৫

শ্রীলঙ্কায় হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মদদ

অনলাইন ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মদদ

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর গির্জা ও হোটেলসহ আটটি স্থানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মদদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র।

সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র রজিথা সেনারত্নে এ কথা জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

তিনি বলেন, ‘রবিবারের এমন ভয়াবহ হামলা দেশের কোনো গোষ্ঠী চালিয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস হয় না। তাদের সঙ্গে অবশ্যই আন্তর্জাতিক যোগসূত্র রয়েছে। তা না হলে এভাবে তারা সফল হতে পারতো না। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ছাড়া এমন হামলা হতে পারে না।’

সিনারত্নের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স বলছে, হামলায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত। স্থানীয় কোনো দল এভাবে হামলা চালাতে পারে না।

এএফপির খবরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রাজিথা সিনারত্নে বলেছেন, দেশটির সরকার মনে করছে, স্থানীয় উগ্র ইসলামপন্থী দল এনটিজে ভয়াবহ এই আত্মঘাতী হামলায় জড়িত। আন্তর্জাতিক কোনো গোষ্ঠী এনটিজেকে সমর্থন বা সহযোগিতা করেছে কি না, এ নিয়ে সরকারের তদন্ত চলছে।

রয়টার্স জানায়, সিনারত্নে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না দেশের ভেতরের কোনো গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ছাড়া এ ধরনের হামলা সফল হতো না।’

গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনটি হোটেল ও গির্জায় চারটি বোমা হামলা হয়। পরের ২০ মিনিটে আরও দুটি বোমা হামলা হয়। বিকেলের দিকে চতুর্থ হোটেল ও একটি বাড়িতে বোমা হামলা হয়। পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৯০ জনে পৌঁছেছে। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ২৪ জনকে।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কার সরকারের ফরেনসিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরিয়ানন্দ ওয়েলিয়াঙ্গা বলেন, কলম্বোর বিলাসবহুল সানগ্রি-লা হোটেলে দুই হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন । অন্য হামলাকারীরা তিনটি গির্জা ও অন্য দুটি হোটেল লক্ষ্য করে হামলা চালান। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে চতুর্থ হোটেল ও একটি বাড়িকেও হামলার নিশানা করা হয়। তবে সেসব জায়গায় কীভাবে হামলা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। ওয়েলিয়াঙ্গা বলেন, এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে।

২০০৯ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর রবিবারের হামলাই ছিলো দেশটিতে চালানো সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তামিল টাইগারদের ২৬ বিদ্রোহের অবসান ঘটেছিলো ২০০৯ সালে। তামিল বিদ্রোহে ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো।

এরপর ২০১৮ সালের মার্চে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনহালা বৌদ্ধরা মুসলিমদের বাড়ি-ঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে হামলা চালালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিলো।

উপরে