প্রকাশিত : ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৪:৫৭

হঠাৎ লাল পানিতে ডুবে গেল পুরো গ্রাম!

অনলাইন ডেস্ক
হঠাৎ লাল পানিতে ডুবে গেল পুরো গ্রাম!

দেখলেই মনে হবে যেনো ‘রক্তের বন্যা’! এমন টকটকে গাঢ় লাল পানিতেই ডুবে গেছে পুরো গ্রাম। যার অসংখ্য ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার জেংগট নামে একটি গ্রামে।

জেংগট দেশটির মধ্য জাভা প্রদেশে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যে ভরপুর গ্রাম। ঐতিহ্যগতভাবে এই গ্রামে রঙিন বাটিক পোশাক এবং মোম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। জেংগটে বৌদ্ধদের বহু পুরাকীর্তি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাম্প্রতি পেকলঙ্গনে বন্যা হয়। বন্যার পানি কয়েকটি বাটিক টেক্সটাইলে ঢুকে পড়ে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) টেক্সটাইলগুলোতে রাখা লাল রঙ পানিতে মিশে তা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই লাল পানির বন্যায় ডুবে যায় গ্রামটি।

লাল পানিতে গ্রাম নিমজ্জিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেকলঙ্গনের দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সংস্থার প্রধান দিমাস আরগা যোধা। তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘বাটিক টেক্সটাইল গুলোর রঙের কারণে লাল পানির বন্যার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে মানুষ বেশ কৌতূহলী। তবে কিছুক্ষণ পর তারা হতাশ হয়ে যাবেন। কারণ কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই পানির রঙ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

তবে এমন রক্তের মতো লাল পানি ছড়ানোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। আইয়াহ-ই-আরিক নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী ছবিগুলো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই ছবিগুলো যদি বিভ্রান্তি ছড়াতে পারদর্শী খারাপ কারও হাতে যায়, তবে তা ভয়াবহ হতে পারে।’

আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, অনেকে এই ছবি ব্যবহার করে গুজব ছড়াতে পারে। লিখতে পারে— ‘কি মর্মান্ত্বিক! রক্তক্ষয়ী বৃষ্টি! এটি পৃথিবীর সমাপ্তি ঘনিয়ে আসার লক্ষণ!’

তবে পেকলঙ্গনে বন্যায় এমন রঙিন পানি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। গত মাসে জেংগটের পাশের একটি গ্রামে সবজু রঙের পানি ছড়িয়ে পড়েছিল। একইভাবে তখন নেটিজেনরা সবুজ বন্যার ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছিলেন।

তবে বন্যার পানিতে এভাবে কেমিকেলযুক্ত রঙ ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিও আলোচনায় নিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন— কেমিকেল মিশে বিষাক্ত হয়ে পড়া এই পানি নদীতে নেমে গেলে বা স্থানীয় পুকুর-ডোবায় জমে থাকলে তা পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে