প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১১:০৯

শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে ৩ কিলোমিটার হাঁটানো হলো নারীকে

অনলাইন ডেস্ক
শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে ৩ কিলোমিটার হাঁটানো হলো নারীকে

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের ‘অপরাধে’ সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে আদিবাসী এক নারীকে তিন কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়। খবর এনডিটিভি।এই ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এমন বর্বর আচরণের নিন্দাও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে কাঁধে চাপিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন ওই নির্যাতিতা। তার পেছন পেছন হাঁটছেন বেশ কয়েকজন যুবক। তাদের হাতে লাঠি ও ব্যাট। তারা ওই নারীকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছেন। এছাড়া বাইক নিয়ে ওই নারীর পেছনে যেতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনকে।

জানা গেছে, গুনা জেলার সাগাই এবং বাঁশখেদি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামীর সম্মতি নিয়েই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কেও ছিলেন। গত সপ্তাহে, সাবেক স্বামীর পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং প্রকাশ্যে এভাবে লাঞ্ছনা করে।

মধ্যপ্রদেশে নারীদের সঙ্গে এমন নির্যাতন এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই সব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর পর বেশ সমালোচনাও হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও এমন মানসিকতার পরিবর্তন আসেনি।

গত বছরের জুলাইয়ে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলাতে এক নারীকে দেখা গিয়েছিল স্বামীকে কাঁধে নিয়ে এভাবে ঘুরতে। সেই অবস্থাতেই লাঠি দিয়ে গ্রামবাসীরা তাকে মারছিলেন। গ্রামবাসীদের লাঞ্ছনা ওই নারীর ওপর হওয়া অত্যাচারকে আরও বর্বর করে তুলেছিল।এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলেও এই রাজ্যে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীকে কাঁধে নিয়ে ঘোরার শাস্তি দেয়া হয়েছিল এক নারীকে।

উপরে