প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১১:৩৭

আফগানিস্তান ছাড়ছে না ন্যাটো বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
আফগানিস্তান ছাড়ছে না ন্যাটো বাহিনী

আফগানিস্তান থেকে এখনই সেনা প্রত্যাহার করবে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের মিলিটারি অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টোলটেনবার্গ গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশটি থেকে যৌথ বাহিনীর সেনা সরানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানের মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তি অনুসারে আগামী ১ মে’র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটোর সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা। কিন্তু ন্যাটো বলছে, তালেবান সেই চুক্তির সব শর্ত মেনে চলেনি। একারণে সেনা প্রত্যাহারের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি।

ক্ষমতার একেবারে শেষপ্রান্তে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ট্রাম্পের ওই ঘোষণার সঙ্গে কখনোই একমত ছিল না ন্যাটো। তারা জানিয়েছিল, যৌথ বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি সেনা যুক্তরাষ্ট্রের। তারা সরে গেলে এতদিনের মিশন ব্যর্থ হবে।

বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্ত আর কার্যকর হয়নি। এর মধ্যেই ইউরোপের একাধিক দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এখনই সেনা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ন্যাটো প্রধান।

গত বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছিলেন স্টোলটেনবার্গ। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে শান্তির জন্য কাজ করেছে ন্যাটো। গত দুই দশকে লাখ লাখ ডলার খরচ হয়েছে। এখন হঠাৎ করে সেনা প্রত্যাহার করলে এতদিনের পরিশ্রম বিফলে যাবে। এ কারণেই সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত হয়নি|

ন্যাটো প্রধানের মতো অনেকটা একই কথা বলেছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তার মতে, এখন সেনা সরিয়ে নিলে ইউরোপে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই আপাতত সেনা সরানোর প্রশ্নই ওঠে না।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত বৃহস্পতিবার কথা বলেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানিস্তানে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে মনে করে দুই পক্ষই। সেজন্য যৌথ বাহিনী তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি, সংকটের রাজনৈতিক সমাধানও খোঁজা হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার  /সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে