প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:৫৬

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার বিরুদ্ধে রাস্তায় কবীর সুমন-ব্রাত্য বসুরা

অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার বিরুদ্ধে রাস্তায় কবীর সুমন-ব্রাত্য বসুরা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় শনিবার (১০ এপ্রিল) বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালে রাজ্যের কুচ বিহারের শীতলকুচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে চারজন নিহত হন। ভোটের মাঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন বিশিষ্টজনেরা।

রোববার (১১ এপ্রিল) গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনসহ বিশিষ্টজেনরা।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনেরা বলছেন, শীতলকুচির প্রাণহানির ঘটনা তাদেরকে নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর দুঃসহ স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেসময়ের মতো এখনও তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহতের প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। বিশিষ্টজনদের এ প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে বিজেপিবিরোধী স্বর উচ্চারিত হয়েছে।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ব্রাত্য বসু, কবীর সুমনসহ অন্যান্যদের হাতে প্লাকার্ড দেখা গেছে। তাতে লেখা ছিল, ‘গণহত্যাকে তীব্র ধিক্কার জানাই’, ‘বুলেট রিভেঞ্জ বাই ব্যালট’, ‘বহিরাগত বাহিনীর গুলিতে চলে গেল চার বাঙালির প্রাণ, দায় কার?’ ইত্যাদি স্লোগান।

কর্মসূচিতে কবীর সুমন বলেন, এভাবে বাঙালিদের দমন করা যাবে না। বিজেপি যদি মনে করে থাকে- এ অত্যাচার চালাবে, চলবে না। বাঙালি রুখে দাঁড়াতে জানে।’

জানা গেছে, বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার কুচ বিহারের শীতলকুচিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলি ছোঁড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়। অন্য তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহতরা সবাই মুসলিম। তারা তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শনিবারের প্রাণহানির ঘটনায় রোববার ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দেয় তৃণমূল। কালো ব্যাজ পরে এদিন বিক্ষোভ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কালো শাড়ি পরে দিনভর প্রতিবাদ সভা করেছেন মমতা ব্যানার্জিও।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে