প্রকাশিত : ৭ মে, ২০২১ ১০:০৪

খোলা মাঠে সারি সারি করোনা রোগী, গাছে ঝুলছে স্যালাইন

অনলাইন ডেস্ক
খোলা মাঠে সারি সারি করোনা রোগী, গাছে ঝুলছে স্যালাইন

রাস্তার ধারে খোলা মাঠে সারি সারি শুয়ে আছেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। তাদের মাথার উপর গাছের ডালে ঝুলছে স্যালাইনের বোতল। বিদ্যুৎ, সঠিক ওষুধ কিংবা শয্যার কোনো ব্যবস্থা নেই। সেখানে বেশিরভাগ মানুষকে মাস্কও পরতে দেখা যাচ্ছে না। আর তাদের চিকিৎসা করছেন হাতুড়ে চিকিৎসকরা।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের আগর-মালওয়া জেলায় এভাবেই চলছে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা। সরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হতে নারাজ গ্রামবাসীরা আপাতত হাতুড়ে চিকিৎসকদের এই চিকিৎসাতেই ভরসা করছেন। এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

আগর-মালওয়া জেলার ধনিয়াখেড়ি গ্রামের কাছে হাইওয়ে থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এক কমলালেবুর বাগানে এই দৃশ্য দেখা গেছে। প্লাস্টিকের শিট ও কার্ডবোর্ডে শুয়ে আছেন রোগীরা। গাছে স্যালাইনের বোতল ঝুলছে। সেখানো সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই, এমনকি কাউকে মাস্কও পরতে দেখা যায়নি।

আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য এখানেই আসছেন। অথচ জায়গাটি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে।


চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, সরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের অব্যবস্থাপনায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। ফলে হাসপাতাল যেতে নিরাপদ বোধ করছেন না তারা।

এলাকার ব্লক মেডিকেল অফিসার মণীশ কুরিল জানিয়েছেন, সরকারকে অবিলম্বে এসব হাতুড়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সবাইকে অনুরোধ করছি, ঠান্ডা লাগলে কিংবা কাশি হলে যথাযথ কোনো চিকিৎসকের কাছে যান এবং করোনা পরীক্ষা করান। তা না হলে খুব দেরি হয়ে যাবে।

চিফ মেডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডক্টর সমন্দর সিংহ মালব্য ঘটনাস্থলে একটি তদন্তকারী দল পাঠান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা দেখেতে পান, চিকিৎসক বা রোগী কারোরই কোনো চিহ্ন নেই। সেখানে কিছু খালি ওষুধের বোতল পড়ে রয়েছ। তবে যে বাগানে এই চিকিৎসা চলছিল, সেটার মালিক হাতুড়ে চিকিৎসকের পরিচয় জানা গেছে। তিনিসহ বাকিদের নামে এখন পর্যন্ত চারটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আগর-মালওয়া জেলায় ৮২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে সেখানে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৯২।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে