প্রকাশিত : ৯ মে, ২০২১ ১০:৫১

জেরুজালেমে আবারও সংঘর্ষ, আহত অনেকে

অনলাইন ডেস্ক
জেরুজালেমে আবারও সংঘর্ষ, আহত অনেকে

জেরুজালেমে শনিবার (৮ মে) রাতেও ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি এক পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিনেও আল-আকসায় সংঘর্ষে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি ও ১৭ ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য আহত হন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর জেরে শনিবার রাতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন জেরুজালেমেরে দামেস্ক গেটে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টে জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১৪ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে তাদের এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা। বিশেষ করে শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বেশি সোচ্চার হন তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমাতুল বিদা উপলক্ষে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি পবিত্র আল-আকসা মসজিদে জমায়েত হয়।ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনারা গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল থেকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি ছোঁড়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরাও।

এদিন ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীরা সদস্যরা পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ভেতরে ঢুকে ফিলিস্তিনিদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

শনিবার রাতে শবে কদরের নামাজ আদায়ের জন্য হাজার হাজার মুসল্লি আল-আলকসা মসজিদে জমায়েত হন। এরপর দামেস্ক গেটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন মসজিদে আগত মুসল্লি বহনকারী বাস আটকে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবারের সংঘর্ষের জেরে অনেক ফিলিস্তিনিকে আটকও করে পুলিশ।

২৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি যুবক মাহমুদ বলেন, ‘তারা চায় না আমরা নামাজ পড়ি। প্রতিদিন সেখানে লড়াই হচ্ছে, সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রতিদিনি সেখানে সমষ্যা হচ্ছে।’
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘মুসল্লিদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে তার দেশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে।’
তবে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) যা বলছেন তা ইসরায়েলের ‘কলুষিত হামলা’।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে