প্রকাশিত : ১১ মে, ২০২১ ১৩:৫৩

হত্যা-নির্যাতন ফিলিস্তিনে : প্রশ্নবিদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা

অনলাইন ডেস্ক
হত্যা-নির্যাতন ফিলিস্তিনে : প্রশ্নবিদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা

জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহ ধরে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার ভোরে পবিত্র আল আকসা মসজিদে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর পর সন্ধ্যায় গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর উচ্ছেদ করে ইহুদিদের অবৈধ বসতি স্থাপনে অপতৎপরতা প্রতিবাদ করায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শেয়ার করা পোস্ট মুছে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানানো অনেক সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি— যারা প্রতিবাদ করছেন, তাদের অনেকেরই পোস্ট মুছে দেয়া হচ্ছে অথবা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনিরা তাদের ক্ষোভ এবং ঘৃণা প্রকাশ করছেন।

এক সপ্তাহ ধরে জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদের শঙ্কায় রাতভর ফিলিস্তিনি পরিবারের প্রতি সংহতি জানিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার গ্রুপের সদস্যরা।

এরই মধ্যে গত শনিবার (৮ মে) রাতে এবং সোমবার (১০ মে) সকালে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৩০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। এছাড়া অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি সারাবিশ্ব থেকে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে #SaveSheikhJarrah হ্যাশট্যাগ সম্বলিত পোস্ট করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের দাবি—ইসরায়েলি পুলিশের হামলার প্রতিবাদে কোনো পোস্ট করলেই তা মুছে দেয়া হচ্ছে। অথবা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অনেকেই বলছেন- SaveSheikhJarrah হ্যাশট্যাগ বা শেখ জাররাহ-এর ঘটনার কোনো ছবি দিয়ে প্রতিবাদ করলেই অ্যাকাউন্টের ব্যবহার সীমিত করাও হচ্ছে।


ফিলিস্তিনের পলিসি নেটওয়ার্ক আল শাবাকার একজন সদস্য মারওয়া ফাতাফতা আল জাজিরাকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো উদার মানসিকতার আড়ালে কার্যত তাদের মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে।’

তিনি ফেসবুক, টুইটারসহ সব সামাজিক মাধ্যমের এমন আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান। এছাড়া সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীদের পোস্ট কেন মুছে দেয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেয়ার দাবি করেছেন।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এখনও এ ব্যাপারে নীরব। তারা শেখ জাররাহ’র ঘটনায় দেয়া পোস্ট মুছে দেয়ার ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা এখনও দেয়নি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে