গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধাপরাধের’ তদন্ত চায় ওআইসি
গাজায় ইসরায়েলের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
ইসরায়েলের চলমান এই নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়ে ওআইসির স্বতন্ত্র স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত’র মাধ্যমে তদন্ত করে এই বিবাদের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বিষয়ক মুখপাত্র ওমর শাকের বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা যুদ্ধাপরাধের সমান।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় আমরা দেখেছি যে, ইসরায়েলি বিমানগুলো বাণিজ্যিক এবং আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে; যে ভবনগুলোতে শত শত পরিবার রয়েছে।’
ওমর শাকের আরও বলেন, ‘বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।’
সোমবারও (১৭ মে) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১২ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৬১ শিশু ও ৩৬ নারী রয়েছেন। এছাড়া গত এক সপ্তাহের চলমান হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত দেড় হাজার জনে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে কয়েকশ ফিলিস্তিনি পরিবার নিজেদের বাড়ি ছেড়ে উত্তর গাজায় জাতিসংঘের পরিচালিত বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, অব্যাহতভাবে অপরাধমূলক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছেন। করোনা মহামারিতে এসব ফিলিস্তিনি স্কুল, মসজিদ এবং অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। সেখানে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।