প্রকাশিত : ২ জুন, ২০২১ ১৫:৩৯

কঙ্গোয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, পানি সঙ্কটে ৫ লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
কঙ্গোয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, পানি সঙ্কটে ৫ লাখ মানুষ

আফ্রিকার দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর থেকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পানি সঙ্কট। প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে চ্যারিটি মেডিসিন্স সান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)। খবর বিবিসির।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে কলেরার মারাত্মক ঝুঁকি থাকায় জরুরি ভিত্তিতে লোকজনের বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

গত ২২ মে মাউন্ট নিরাগঙ্গ থেকে ঝর্ণার মতো লাভা নির্গত হতে থাকে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় একটি জলাধার এবং বেশ কয়েকটি পানির পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলে পানির সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে।

অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে পাঁচ শতাধিক বসতঘর। এখনও ১৭০ শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

এখনও হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে পারছেন না। কঙ্গোতে এমএসএফ'এর প্রধান মাগালি রাউদাউত বলেন, আমরা বাস্তুহারা লোকজনের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এটা যথেষ্ঠ নয়।

তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্থাকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। মাগালি রাউদাউত বলেন, তাদের টিম কাছাকাছি সেক শহরে চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ওই শহরে বিভিন্ন গির্জা, স্কুল, মসজিদ এবং রাস্তা-ঘাটে এক লাখ থেকে দেড় লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করছে।

সবশেষ ২০০২ সালে দেশটিতে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। তখন ২৫০ জনের মতো নিহত হয়েছিল। ঘরবাড়ি হারায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। এই আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ রকমের উদগীরণ হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। সেবার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরিটিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, এই আগ্নেয়গিরির ওপর ঠিকমতো নজর রাখা হচ্ছিল না। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংক এ সংক্রান্ত আর্থিক সহযোগিতা বাতিল করে দেয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে