প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২১ ১৪:৫১

জম্মু-কাশ্মীরে কোরবানির পশু জবাই নিয়ে বিতর্ক

অনলাইন ডেস্ক
জম্মু-কাশ্মীরে কোরবানির পশু জবাই নিয়ে বিতর্ক

আর কয়েকদিন পরেই বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশু জবাই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক আদেশ জারির মাধ্যমে সেখানে উট, গরু বা যেকোনো প্রাণী জবাই করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

প্রাণী কল্যাণ আইনকে উদ্ধৃত করে ‘অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অব ইন্ডিয়া’ পুলিশ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পশু পাখির অবৈধ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের’ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

এই নির্দেশনার পরপরই জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম সংগঠন মুত্তাহিদা মজলিস-এ- উলামা (এমএমইউ) এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবে এই নির্দেশনার মাধ্যমে বাধা দেয়া হচ্ছে।

সংগঠনটি দ্রুত এটি প্রত্যাহার করে মুসলমাদের শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র ঈদুল আজহার রীতি-নীতি পালন করতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন পরে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে মুসলিমদের কোরবানীর ঈদ উদযাপন উপলক্ষে পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। পশু সুরক্ষা আইনের আওতায় এটি প্রতিবছরই এ ধরনের চিঠি দেয়া হয়ে থাকে।

ভারতীয় কর্মকর্তা জিএল শর্মা জানিয়েছেন, এটি কোন নিষেধাজ্ঞা নয়, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড এ চিঠি দিয়েছে পশু সুরক্ষার জন্য। তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

এ ঘটনার পর উত্তেজনা বিরাজ করছে কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। কারণ মুসলমাদের অন্যতম একটি ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এই উৎসবে পশু জবাই ও মাংস গরিব দুস্থদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া তাদের ধর্মীয় রীতির একটি অংশ।

ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে গরু তাদের মায়ের মতো পবিত্র। এর আগে ভারতে প্রকাশ্যে গরু জবাই ও গো-মাংস বহন বা খাওয়ার ঘটনায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে