প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৩৮

খাবার কিনতে লেপ-তোশক বিক্রি করছে আফগানরা

অনলাইন ডেস্ক
খাবার কিনতে লেপ-তোশক বিক্রি করছে আফগানরা

দীর্ঘদিনের যুদ্ধ-সংঘাতে আফগানিস্তানে দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক সংকট আগে থেকেই ছিল। তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় তা আরও বাড়ছে। সেই সংকটের চিত্রই দেখা যাচ্ছে দেশটির হাট-বাজারে। ভয়াবহ আর্থিক সংকটে নিজেদের সর্বস্ব বিক্রি করে দিচ্ছে আফগানরা। এমনকি ঘরের নিত্য ব্যবহার্য লেপ-তোশকও। কেউ হয়তো তালেবান শাসন থেকে পালাতে, আবার কেউ হয়তো শুধু দুবেলা খাবারের টাকা জোগাড়ে অনেকটা পানির দরে বিক্রি করছেন। আলজাজিরা ও এএফপি।

রাজধানী কাবুলের চামান-ই হোজোরি এলাকায় চারটি কার্পেট নিয়ে বিক্রির অপেক্ষায় শুকরুল্লাহ নামের এক আফগান নাগরিক। ওই এলাকায় তার মতো অনেকেই টাকার জন্য নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। শত শত মানুষ ফ্রিজ, কুশন, পাখা, বালিশ, কম্বল, রুপার জিনিস, পর্দা, বিছানা, ম্যাট্রেস, রান্নাঘরের জিনিসপত্র, শেলফ বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছেন। শুকরুল্লাহ বলেন, আমরা এ কার্পেটগুলো ৪৯ হাজার আফগানিসে (৫৫৬ ডলার) কিনেছিলাম। কিন্তু এখন এসব পাঁচ হাজারের বেশিতে (৫৮ ডলার) বিক্রি করতে পারব না।

এদিকে আফগানিস্তানে মানবিক সংকট আসন্ন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংকট এড়াতে দাতাদের কাছে ৬০ কোটি ডলার চেয়েছে সংস্থাটি। তালেবানের কাবুল দখলের আগে থেকেই আফগানিস্তানে এক কোটি ৮০ লাখ লোক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর খরা, অর্থ ও খাদ্য ঘাটতির মধ্যে সংখ্যাটি আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওদিকে আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে তালেবান। ওই তল্লাশি চলাকালে তার বাড়িতে ৬৫ লাখ ডলার পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটির নেতারা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫ কোটি ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৮২০ টাকা। ইন্ডিয়া টুডে। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলে বিমানভর্তি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও কাবুল ছেড়ে পালিয়ে যান। তবে দেশ ছাড়েননি তিনি। এদিকে কাবুলে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটের বিমান অবতরণ শুরু করেছে। সোমবার পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটে ১০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। যাত্রীর চেয়ে বিমানের স্টাফের সংখ্যাই ছিল বেশি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে