প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৫৩

বিয়ে-বিরোধী মালালার বিয়ে করা নিয়ে যা লিখলেন নেটিজেনরা

অনলাইন ডেস্ক
বিয়ে-বিরোধী মালালার বিয়ে করা নিয়ে যা লিখলেন নেটিজেনরা

কয়েক মাস আগে বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। নারী অধিকার নিয়ে কথা বলে বারবার আলোচনায় আসলেও এবার আসলেন ভিন্ন আঙ্গিকে।‘লোকে বিয়ে কেন করে?’- এমন প্রশ্ন তোলার পর নিজেই বিয়ে করে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। অতিদ্রুত তার এই অবস্থান বদল নিয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।

গত মঙ্গলবার রাতে মালালা এক টুইট বার্তায় নিজের বিয়ের খবর জানান। জীবনসঙ্গী পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিক। এর পর থেকেই টুইটারসহ নানা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা মন্তব্য করেন সবাই। আবার অনেকে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভাব করে দাম্পত্য জীবনে পা ফেলায় তাদের জন্য সুখী বিবাহিত জীবন কামনা করেছেন।

মালালার বিয়ের খবরে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘চলতি বছরেরই জুন মাসে বিয়ে নিয়ে বিখ্যাত ব্রিটিশ ফ্যাশন ম্যাগাজিন Vogue-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই বলেছিলেন, 'বিয়ের সামাজিক তকমাটা অপ্রয়োজনীয়।' তিনি আরোও বলেছিলেন, 'জীবনসঙ্গীর জন্য বিয়ে করাটা অপ্রয়োজনীয়। আমি তো এখনও বুঝতে পারলাম না যে, লোকে বিয়ে কেন করে? যদি সত্যি আপনার জীবনে কোনও মানুষকে চান, তার জন্য বিয়ের আইনি কাগজে সইয়ের কী প্রয়োজন? দু'জনে পরস্পরের পাশে থাকাটাই কি যথেষ্ট নয়?'

মালালার এই বক্তব্য সে সময়ে সারাবিশ্বে বিশেষ করে পাকিস্তানে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু ছয় মাস না পেরুতেই মালালা অপ্রয়োজনীয় বিবাহের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন। কেন করলেন সেই প্রশ্নের চিত্তাকর্ষক উত্তর হয়ত জানা যাবে না। তবে এর অনেকখানি কৃতিত্ব যে পাত্র পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার আসার মালিকের সন্দেহ নেই। কিংবা হয়তো বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে গেলে ঐরকম কিছু কথা বলতে হয়, যেমন তসলিমা নাসরিন বলেন। এগুলো আসলে তারা নিজেরাও কতটা মন থেকে বিশ্বাস করেন তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।’’


মুফতি জহিরুল ইসলাম শাহপুরী লিখেছেন, ‘‘তৃণা ও শাকিলের কাহিনি পড়ে মালালা চিন্তা করল, ব্যবহৃত টিস্যু হয়ে লাভ নেই, তাই বিয়ে করে ফেলল। জীবনের নিশ্চয়তা দরকার। হে বোন! তুমি সুখ চাও? জীবনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চাও? ইসলামের অনুশাসন মেনে চলো।’’

মাহমুদুল হাসান লিখেছেন, ‘‘কিছুদিন আগেই বিয়ের ব্যাপারে নিজের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন মালালা। গত জুন মাসে ব্রিটেনের একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, মানুষকে কেন বিয়ে করতেই হবে এটা আমি বুঝতে পারি না। কাউকে জীবনে সঙ্গী করতে চাইলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে সই করতে হবে। শুধুমাত্র যৌথতার মাধ্যমে কেন এটা হতে পারে না? এখন নিজে কাবিনে সই করে বিয়ে সেরে নিল, এত তাল-বাহানা করার কি দরকার ছিল, পচ্চিমাদের খুশি করার জন্য। এ-ই মালালার পিছে ইহুদি পচ্চিমাদের যোগসূত্র আছে কি নাই মানুষ এখন বুঝতে পারছে?’’

সাইফুল্লাহ জামিল লিখেছেন, ‘‘মানুষ কেন বিয়ে করে বলা মালালা গতকাল বিয়ে করেছেন,এই থেকে বুঝা উচিত মানুষ নিজে ঠিক না হয়েও অন্যকে উপদেশ দেয় বেশি।অবশ্যই এটাও মালালার গবেষণার একটা অংশ।’’

শাহজাহান বিক্রম লিখেছেন, ‘‘আল্লাহ মহান। তাইতো অতি দ্রুত মালালার বিয়ের কাজ সম্পন্ন করিয়ে মানুষকে মালালার ভুল ব্যাখ্যা থেকে রেহাই দিল। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’’

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাই

 

উপরে