ভীমের দাম ২৪ কোটি টাকা
ভীমের এক দাম কেন? মালিক অরবিন্দ জানান, তার মহিষের বীর্যের বিপুল চাহিদা। ০.২৫ মিলিলিটার বীর্যের দাম ৫০০ টাকা। এই বীর্য বিক্রি করেই অরবিন্দ বছরে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন।
ভীমের প্রতিপালনের জন্য প্রতি মাসে খরচ হয় দুই লাক্ষ টাকা। সে দিনে এক কেজি ঘি, ২৫ লিটার দুধ এবং এক কেজি কাজু-পেস্তা খায়।
পোশাকি নাম ভীম। নামের সাথে তার চেহারারও মিল আছে। এই ভীম কোনো ব্যক্তি নয়। রাজস্থানের জোধপুরের বেশ পরিচিত এক মহিষ। কয়েক দিন আগেই সুলতান মারা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। সুলতানের মতোই ভীমও বহু পুরস্কার বিজয়ী।
সুলতান ছিল হরিয়ানার একটি মহিষ। তার দাম ছিল ২১ কোটি টাকা। কিন্তু সেই সুলতানকেও দামের নিরিখে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভীম।
প্রতি বছর জোধপুরে পশু মেলা হয়। মেলাতেই মালিক অরবিন্দ জঙ্গিরের সাথে হাজির হয়েছিল ভীম। গোটা মেলার আকর্ষণ ছিল ভীম।
১৫০০ কেজি ওজনের ভীমের দাম উঠেছে ২৪ কোটি টাকা। কিন্তু অরবিন্দ এত দাম পেয়েও তার প্রিয় ভীমকে কাছছাড়া করতে রাজি হননি। তার কথায়, ‘ভীমকে বিক্রি করার জন্য আনিনি। মুরা প্রজাতির মহিষকে যাতে সংরক্ষণ করা হয় সেই সচেতনতা প্রচারেই মেলায় প্রদর্শনীর জন্য এনেছিলাম ভীমকে।’
২০১৮-১৯ সালে পুষ্কর পশুমেলায় বহু পুরস্কার জিতেছে ভীম। শুধু পুষ্কর নয়, বালোত্রা, নাগপুর এবং দেহরাদূনে গিয়েও পুরস্কার জিতেছে সে।
সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন