প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ১১:৪২

পাঞ্জাবে ক্যান্টনমেন্টের গেটে গ্রেনেড হামলা, ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি

অনলাইন ডেস্ক
পাঞ্জাবে ক্যান্টনমেন্টের গেটে গ্রেনেড হামলা, ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি

ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোট জেলায় সেনা ক্যাম্পে ত্রিবেণী গেটের সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এ গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলে দেশটির পুলিশের পক্ষে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় জানমালের কোনো ক্ষতি না হলেও পাঠানকোটে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। সর্বত্র তল্লাশি চলছে। একইসঙ্গে গোটা পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতসর, জলন্ধর, ভাতিন্ডা, গুরুদাসপুর এবং অন্যান্য সমস্ত শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন চেকপয়েন্টে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, পাঠানকোটে গ্রেনেড হামলার আঁচ পৌঁছেছে জম্মু পর্যন্ত। জম্মুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জম্মু-পাঠানকোট মহাসড়কে অনেক জায়গা অবরুদ্ধ করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সমস্ত গাড়িকে তল্লাশি করা হচ্ছে।

পাঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া সোমবার (২২ নভেম্বর) জানান, তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছেন। এতে অমৃতসর সীমান্ত অঞ্চল এবং জলন্ধর জোনের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

পাঠানকোটের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) সুরেন্দ্র লাম্বা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাঠানকোটের সব চেকপোস্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পরে গ্রেনেডের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাতে ক্যাম্পের সামনে দিয়ে একটি মোটরসাইকেল চলে যায়। এতে থাকা লোকজন গেটের দিকে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, যা বিস্ফোরিত হয়। এরপর এলাকাটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয় এবং তল্লাশি চালানো হয়। গেটে লাগানো সিসিটিভিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাঞ্জাবের পাঠানকোট ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্টেশন, সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ ডিপো এবং দুটি সাঁজোয়া ব্রিগেড এবং সাঁজোয়া ইউনিট রয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে