প্রকাশিত : ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৩৩

ক্ষমতা দখলের পর এক শর বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছে তালেবান

অনলাইন ডেস্ক
ক্ষমতা দখলের পর এক শর বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছে তালেবান

আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর থেকে তাদের হাতে দেশটির তৎকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর এক শর বেশি সদস্য নিহত বা গুম হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) নতুন প্রতিবেদনে দেশটি চারটি প্রদেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

 যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এইচআরডব্লিউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটি দখলের পর তালেবান নেতারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আফগানিস্তানের তৎকালীন পুলিশ ও সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্থানীয় কমান্ডারদের বাধা দেননি।

সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, আফগান পুলিশ ও সেনাদের হত্যার ক্ষেত্রে স্থানীয় কমান্ডারদের এমন কর্মকাণ্ড মেনে নিয়েছেন ও অনুমোদন দিয়েছেন তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই কাজটি ইচ্ছাকৃত। যদিও তালেবানের এক মুখপাত্র এমন প্রতিশোধমূলত কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছেন।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যায়। এর আগে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। কাবুল দখলের পর তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, যাঁরা সরকারের পুলিশ, সেনাবাহিনী কিংবা বিভিন্ন প্রদেশেও কাজ করেছেন, তাঁরা তালেবান সরকারের আমলে নিরাপদে থাকবেন। যদিও এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর থেকেই তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কারণ, দেশটির সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার রেকর্ড রয়েছে তালেবানের। বিশেষ করে ২০২০ সালের শুরু থেকে চলতি বছর ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত প্রায় ১৮ মাসে বেশ কিছু নৃশংস হামলা চালায় তালেবান।

এসব হামলার ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন বিচারক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীও।
এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তালেবান ক্ষমতা দখলের পরও অব্যাহত ছিল। গত মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলেছে, গজনি, হেলমান্দ, কুন্দজ ও কান্দাহার প্রদেশে এক শর বেশি মানুষকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছে তালেবান। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পরই এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর আদেশ দিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে নিবন্ধন করুন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, তা সংগ্রহ করুন। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উল্টো। আত্মসমর্পণ করে নিবন্ধনের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অনেকে সেখানে গুম হয়েছেন বা তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, তালেবান তাদের পূর্ববর্তী সরকারের বিভিন্ন নথি ধরে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের খুঁজে বের করে হত্যা অথবা গুম করেছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে