মালয়েশিয়ায় বন্যায় বাস্তুহারা ২২ হাজারের বেশি মানুষ
![মালয়েশিয়ায় বন্যায় বাস্তুহারা ২২ হাজারের বেশি মানুষ](./assets/news_images/2021/12/19/flood-20211219160627.jpg)
মালয়েশিয়ায় বন্যায় হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তহারা হয়ে পড়েছে। রোববার দেশটিতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখছে দেশটির মানুষ।
গ্রীষ্মমন্ডলীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বছরের শেষ দিকে ঝড়-বন্যা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। মৌসুমি বন্যা পরিস্থিতির কারণে লোকজনকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে হয়।
শুক্রবার থেকে ভারি বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়েছে।
সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় আটটি রাজ্য ও অঞ্চলের প্রায় ২২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ কেন্দ্রীয় পাহাং রাজ্যের বাসিন্দা।
দেশটির ধনী রাজ্য হিসেবে পরিচিত সেলানগরে ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। রাজধানী কুয়ালালামপুর ঘিরে ওই রাজ্যের অবস্থান। সেখানে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে হতবাক হয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সেলানগরে বন্যা খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি সবাইকে হতবাক করেছে।
সরকারি একটি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ছয়টি কেন্দ্রীয় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে রোববার সকাল থেকে পানির মাত্রা বিপজ্জনক স্তর পার করেছে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ডজনখানেক বাসের রুট এবং ট্রেন সেবা বাতিল করা হয়েছে। দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা গেছে ২০১৪ সালে। সে সময় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন