প্রকাশিত : ১ জানুয়ারী, ২০২২ ১৪:৪২

ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেও দেশে দেশে নববর্ষ উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক
ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেও দেশে দেশে নববর্ষ উদযাপন

ইংরেজি নববর্ষ-২০২২ সালের আগমনী বার্তা পৌঁছে গেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কাছে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে বহু দেশে। ওমিক্রন মোকাবিলায় জারি রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। তা সত্ত্বেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে স্বাগত জানালো পৃথিবীর মানুষ। দেশে দেশে চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। নানা প্রান্ত থেকে নানাজন নতুন বছরে নতুনভাবে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন একে অপরকে।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ সামোয়া এবং কিরিবাতির মানুষ প্রথম শুক্রবাররাত ১০ টা থেকে শুরু করে নতুন বছর। এর এক ঘণ্টা পর শুরু হয় নিউজিল্যান্ডে। গোটা বিশ্বে নতুন বছরের ঘণ্টাধ্বনি বাজতে ২৬ ঘন্টা সময় লাগবে, যা চলবে শনিবার গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী ১০টা পর্যন্ত।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে স্বাগত জানিয়েছেন। দেশটির সিডনির আইকনিক হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউস নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আতশবাজি ও আলোর ঝলকানিতে জ্বলজ্বল করে ওঠে। ৬ টন রঙিন আতশবাজির খেলা চলে দীর্ঘক্ষণ।

ওমিক্রনের কারণে বড় ধরনের আয়োজন না থাকলেও চোখে পড়েছে আতশবাজির ঝলকানি। নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্বনেতারাও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

আতশবাজির ঝলকানিতে ভরে যায় লন্ডনের আকাশ। যুক্তরাজ্যে শুক্রবার করোনা আক্রান্তের সর্বোচ রেকর্ড হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে বড় ধরনের আয়োজন। তবুও ছোট্ট পরিসরে আয়োজন ছিল দেখার মতো। দুই বছর লকডাউনের মধ্যে থেকে বের হয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এবং আতশবাজির রঙিন আলো দেখতে হাজির অনেকেই।

টাইমস স্কয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কেন্দ্রস্থলে ম্যানহাটানে অবস্থিত একটি সড়ক চত্বর। নিউইয়র্ক শহরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাও এটি। ১৯০৪ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে বর্ষবিদায় ও নতুন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।

চলতি সপ্তাহে করোনা শনাক্তে দৈনিক সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। ফলে এবারের নববর্ষ উদযাপনে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের অফিসিয়াল ইভেন্টগুলো পিছিয়ে দেওয়া হয়। নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বিশ্বের বিখ্যাত এই স্কোয়ারে মানুষের প্রবেশ সংখ্যা ১৫ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা। অথচ করোনার আগে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটতো সেখানে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছানোর পরপরই একটি বল ফেলে নববর্ষের সূচনা ঘোষণা করা হয়। আর সে দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করেন অনেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে সর্বপ্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল, সেখানেও মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ প্রত্যাহার করা হয় নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে।

 সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে