প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২২ ১২:৫৯

ইন্দোনেশিয়ায় বোমা হামলার পরিকল্পনাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় বোমা হামলার পরিকল্পনাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ২০০২ সালের ভয়াবহ বোমা হামলা ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানী জাকার্তার আদালত সন্ত্রাসবাদের দায়ে জুলকারনাইন নামের ওই জঙ্গিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এক যুগের বেশি সময় আগে বালিতে প্রাণঘাতী বোমা হামলা চালানোর পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাকে ‘মোস্ট ওয়ান্ডেট’ ঘোষণা করেছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত পলাতক ছিলেন জুলকারনাইন।

পর্যটকদের কাছে ছুটি কাটানোর অন্যতম জনপ্রিয় বালি দ্বীপের দু’টি পানশালায় চালানো ওই ভয়াবহ হামলায় ২১ দেশের অন্তত ২০২ নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। বালি দ্বীপের একটি আইরিশ পানশালা ও পার্শ্ববর্তী সারি ক্লাবে বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে ৮৮ অস্ট্রেলীয়, ৩৮ ইন্দোনেশীয় এবং ২৮ ব্রিটিশ ছিলেন।

বোমা হামলায় জড়িত থাকার দায়ে ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এছাড়া আরও কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের কয়েকজন মারা গেছেন।

১৫ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া জুলকারনাইন দেশটিতে আরিস সুমারসোনো নামে পরিচিত। তিনিও জামাহ ইসলামিয়ার সদস্য বলে প্রসিকিউটররা আদালতকে জানিয়েছেন।

প্রসিকিউটররা বলেছেন, জুলকারনাইনের নির্দেশে জামাহ ইসলামিয়ার একটি বিশেষ শাখার সদস্যরা ইন্দোনেশিয়ায় বড়দিন এবং নববর্ষ উদযাপনের দিনে ২০০০ ও ২০০১ সালে বোমা হামলা চালিয়েছিল। এছাড়া ২০০০ সালে রাজধানী জাকার্তায় ফিলিপাইনের দূতাবাসে বিস্ফোরণ, ২০০৩ সালে জাকার্তার ম্যারিয়ট হোটেলে বোমা হামলা এবং ২০০৪ সালে জাকার্তায় অস্ট্রেলীয় দূতাবাসে বোমা হামলাও জিমাহর বিশেষ শাখার সদস্যরা চালায়।

দুর্ধর্ষ জঙ্গি জুলকারনাইনকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি আদালতকে বলেছেন, আগাম হামলা চালানোর ব্যাপারে জামাহ ইসলামিয়ার সদস্যরা তার সঙ্গে পরামর্শ করেনি। এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তিনি দায়মুক্তি পেতে পারেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আদালত।

সূত্র: সিনহুয়া

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে