প্রকাশিত : ৯ মে, ২০২২ ১১:৫৫

গুজরাটে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৬০০ মুসলিম জেলের

অনলাইন ডেস্ক
গুজরাটে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৬০০ মুসলিম জেলের

ভারতের গুজরাটে হাজার বছর ধরে মুসলিম জেলেরা বসবাস করছেন। এখন তারা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পোরবন্দরে। বিশ্ব জায়গাটিকে চেনে মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধীর জন্মভূমি হিসেবে। যে গান্ধী আজীবন সত্য-শান্তি-সম্প্রীতির জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। তার জন্মভূমিতেই ৬০০ মুসলিম জেলের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের কারণ গুজরাটের বিজেপি সরকারের চূড়ান্ত বৈষম্য।

পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির জেলেদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গুজরাট হাইকোর্টে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করেছেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে চরম খারাপ হয়েছে। তার কারণ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের বৈষম্য। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি ও তার সঙ্গে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক আদালত।

গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেনস সোসাইটির পক্ষ থেকেও হাইকোর্টে একই আবেদন জানানো হয়েছে। ওই সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনো রকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানা ভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।

আবেদনে জানানো হয়, সম্প্রদায়টি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। বিভিন্নভাবে স্থানীয় প্রশাসন তাদের হেনস্থা করেছে। এলাকার ১০০টি পরিবারের ৬০০ লোক মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাছ ধরার জন্য তাদের মৎস্য দপ্তরের অনুমতিপত্রও রয়েছে। তা সত্ত্বেও গোসাবারা ও নভি বন্দরে তাদের নোঙর করতে দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সাল থেকে তাদের এই ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে পোরবন্দরের ওই মুসলিম মৎস্যজীবীরা।

আবেদনকারী মৎস্যজীবীদের আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেন, ২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নৌকা চলাচল বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রেরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। থিম্মার অভিযোগ, হিন্দু মৎস্যজীবীদের সরকার সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে, অথচ তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না।

মুসলিম মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বার বার উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ তারা বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে কোনো ভাবেই জড়িত নন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে