প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২২ ১০:১৯

পুতিনকে সউদী বাদশাহ’র অভিনন্দন

অনলাইন ডেস্ক
পুতিনকে সউদী বাদশাহ’র অভিনন্দন

রাশিয়ার বিজয় দিবসে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবরাজ ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও। সোমবার (০৯ মে) রাষ্ট্রয়ত্ত সংবাদ সংস্থা সউদী প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত বাহিনীর হাতে জার্মান নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের দিন। দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে রাশিয়া। সোমবার ছিল ওই বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী। এসপিএর প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, অভিনন্দন বার্তায় পুতিনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন সউদী বাদশাহ ও যুবরাজ। পাশাপাশি রাশিয়ার জনগণ ও সরকারের উন্নতিও কামনা করেন তারা।

আগের বছরগুলোর মতোই এ বছরের দিবস সামরিক কুচকাওয়াজসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপন করেছে মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই দিবসের কুচকাওয়াজের দিকে নজর ছিল পুরো বিশ্বের। এদিন মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় হাজার হাজার রুশ সেনা।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ভাষণ দেন পুতিন। ভাষণে ইউক্রেনে রাশিয়ায় চলমান সামরিক অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে ইউক্রেনের সখ্যতা রাশিয়ার জন্য ‘বিপজ্জনক হুমকি’ তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছিল যা দিন দিন রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছিল। গত বছর ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দিলেও তারা এই প্রস্তাবকে আমলে নেয়নি।

এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনা বাহিনীকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন। তার দু’দিন আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি। সোমবার অভিযান ১১ তম সপ্তাহে পৌঁছায়।

সৌদি আরব অবশ্য যুদ্ধের শুরু থেকে সরাসরি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন— কোনো পক্ষকেই সমর্থন জানায়নি। এ বিষয়ে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল, সহিংস পন্থার পরিবর্তে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রয়াসের মাধ্যমে এই ইস্যুটির সমাধান সম্ভব বলে মনে করে রিয়াদ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে