প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২২ ১০:২০

এবার বেকারত্ব বীমা চালু করতে যাচ্ছে আরব আমিরাত

অনলাইন ডেস্ক
এবার বেকারত্ব বীমা চালু করতে যাচ্ছে আরব আমিরাত

অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এবার বেকারত্ব বীমা চালু করতে যাচ্ছে পারস্য উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দক্ষ কর্মী এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার আমিরাতের মন্ত্রিসভা থেকে এই সিদ্ধান্ত আসে। বলা হয়, বীমাকৃত কর্মীরা যদি বেকার হয়ে পড়েন তবে সীমিত সময়ের জন্য তাদের কিছু অর্থ প্রদান করা হবে।
এক টুইটে আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম মন্ত্রিসভার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

দুবাইয়ের শেখ মোহাম্মদ বিবৃতিতে আরো জানান, ‘‘এই বীমার উদ্দেশ্য শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা জোরদার করা, কর্মীদের জন্য একটি সামাজিক ছাতা প্রদান করা এবং সবার জন্য একটি স্থিতিশীল কাজের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা।”

তবে শুধু আরব আমিরাতের নাগরিকরা, নাকি নাগরিক নন এমন বাসিন্দারাও এই সুযোগ পাবেন সে বিষয়ে বিবৃতিতে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
আইএমএফ-র তথ্যানুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিতে মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশই বিদেশি এবং ঐতিহ্যগতভাবে তাদের সেসব দেশে বসবাস কর্মসংস্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেখানে চাকরি চলে যাওয়ার অর্থ কর্মীকে সে দেশ ছাড়তে হবে।

উপসাগরীয় দেশ কাতার, ওমান, কুয়েত এবং সউদী আরব নাগরিকদের আংশিক বেকার ভাতা প্রদান করে। এছাড়া, বাহরাইনে নাগরিক নয় এমন আবাসিক কর্মীদের জন্য এক ধরণের বেকারত্ম বীমা রয়েছে।

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মেলাতে আরব আমিরাত আরো বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেমন: দেশটি এ বছর সপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তন করে শনিবার ও রোববার করেছে। যাতে বিশ্ববাজারের কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।

এছাড়া, গত ১৮ মাসে আরো কিছু আইন ও বিধান সংশোধন করা হয়েছে। যেমন: এখন মদ্যপান এবং বিবাহের পূর্বে একসঙ্গে বসবাস দেশটিতে আর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না।
মন্ত্রিসভা বেসরকারি খাতে আরব আমিরাতের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন কোটার লক্ষ্যমাত্রাও ঘোষণা করেছে। যা ‘ইমিরাটাইজেশন’ নামে পরিচিত।

সূত্র : আল জাজিরা

উপরে