প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২২ ১১:০৫

সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ করছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ করছে পাকিস্তান

আর্থিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ধনীদের ওপর কর বাড়ানো এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ করছে পাকিস্তান। শুক্রবার (১০ জুন) দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এ তথ্য জানিয়েছেন। মূলত সরকারের খরচ কমানো, বাজেটে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের চাপ মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সহায়তার শর্তপূরণে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে পাকিস্তান। খবর রয়টার্সের।

২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটি কয়েক বছর ধরেই গুরুতর অর্থনেতিক সংকটে ভুগছে। পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে। এই অর্থ দিয়ে বড়জোর ৪৫ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তাদের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

শুক্রবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য পাকিস্তানের বাজেট পেশ করেছেন শাহবাজ সরকারের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। এসময় তিনি জানিয়েছেন, সরকার ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপের পাশাপাশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা নিষিদ্ধ করবে।

তবে সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ শুধু কর্মক্ষেত্রের জন্য নাকি ব্যক্তিগতভাবেও নিষিদ্ধ হবে, তা নিশ্চিত নয়। পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছি… এটিই শেষ নয়।

পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার আগে আর্থিক ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের শর্ত বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। ইসমাইল জানিয়েছেন, সরকার কর ফাঁকি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবে, যা নতুন অর্থবছরে রাজস্ব আদায় সাত লাখ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে (৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ডলার) পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং আর্থিক ঘাটতি কমিয়ে আনবে।

পাকিস্তান ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশে রাখার চেষ্টা করবে, যা চলতি বছরের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে অনেক কম।

পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার বেসরকারিকরণ থেকে ৯ হাজার ৬০০ কোটি রুপি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।ঋণের জন্য পাকিস্তানকে দেওয়া আইএমফের শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জ্বালানি ভর্তুকি বাতিল করা। পাকিস্তান সরকার এরই মধ্যে সেই দাবি পূরণ করেছে, যার কারণে দেশটিতে জ্বালানির দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯ লাখ ৫০ হাজার কোটি রুপির বাজেট ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ইসমাইল জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৫ শতাংশে থাকবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

আর্থিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ধনীদের ওপর কর বাড়ানো এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ করছে পাকিস্তান। শুক্রবার (১০ জুন) দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এ তথ্য জানিয়েছেন। মূলত সরকারের খরচ কমানো, বাজেটে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের চাপ মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সহায়তার শর্তপূরণে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে পাকিস্তান। খবর রয়টার্সের।

২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটি কয়েক বছর ধরেই গুরুতর অর্থনেতিক সংকটে ভুগছে। পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে। এই অর্থ দিয়ে বড়জোর ৪৫ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তাদের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

শুক্রবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য পাকিস্তানের বাজেট পেশ করেছেন শাহবাজ সরকারের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। এসময় তিনি জানিয়েছেন, সরকার ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপের পাশাপাশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা নিষিদ্ধ করবে।

তবে সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ শুধু কর্মক্ষেত্রের জন্য নাকি ব্যক্তিগতভাবেও নিষিদ্ধ হবে, তা নিশ্চিত নয়। পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছি… এটিই শেষ নয়।

পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার আগে আর্থিক ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের শর্ত বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। ইসমাইল জানিয়েছেন, সরকার কর ফাঁকি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবে, যা নতুন অর্থবছরে রাজস্ব আদায় সাত লাখ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে (৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ডলার) পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং আর্থিক ঘাটতি কমিয়ে আনবে।

পাকিস্তান ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশে রাখার চেষ্টা করবে, যা চলতি বছরের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে অনেক কম।

পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার বেসরকারিকরণ থেকে ৯ হাজার ৬০০ কোটি রুপি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

ঋণের জন্য পাকিস্তানকে দেওয়া আইএমফের শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জ্বালানি ভর্তুকি বাতিল করা। পাকিস্তান সরকার এরই মধ্যে সেই দাবি পূরণ করেছে, যার কারণে দেশটিতে জ্বালানির দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯ লাখ ৫০ হাজার কোটি রুপির বাজেট ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ইসমাইল জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৫ শতাংশে থাকবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

উপরে