প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০২২ ১৭:৩৩

বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড

বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে। পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুই যেন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ থাকবে। এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উন্নয়নশীল দেশগুলো।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডার মতো দেশগুলোও মুদ্রাস্ফীতির কারণে সংকটে পড়েছে। আমেরিকা যে অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে এখনই তা থেকে রেহাই মিলছে না। দেশটিতে খাদ্য ও পেট্রলের দামে ঊর্ধ্বগতি জনগণের পকেট খালি করছে।

গত এপ্রিলে দেশটিতে ভোগ্যপণ্যের দাম এক বছর আগের তুলনায় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ছিল। এমনকি খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাদে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। শক্তিধর অর্থনীতির এই দেশটিতে বর্তমানে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে উঠেছে, যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। অপরদিকে যুক্তরাজ্যে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ শতাংশে উঠেছে, যা গত ৪০ বছরে সর্বোচ্চ।

এদিকে জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। কানাডায় ৬ দশমিক ৮, সুইডেনে ৬ দশমিক ৪, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ দশমিক ৪, ফ্রান্সে ৫ দশমিক ২, সুইজারল্যান্ডে ২ দশমিক ৯ এবং জাপানে মুদ্রাস্ফীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব ও চীনের শূন্য-কোভিড নীতি যতদিন আছে ততদিন সরবরাহ সংকট আরও বাড়বে। আমেরিকান শ্রম বাজারও বেশ উত্তপ্ত।

নিউজিল্যান্ডে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ যা ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অপরদিকে তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে যা গত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তানে ১৩ দশমিক ৮, ভারতে ৭ দশমিক ৭৯, নেপালে ৭ দশমিক ২৮, বাংলাদেশে ৬ দশমিক ২৯, ভুটানে ৫ দশমিক ৫৭, আফগানিস্তানে ১ দশমিক ৫৬ ও মালদ্বীপের মুদ্রাস্ফীতি ১ দশমিক ২ শতাংশ।

সিএনবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি এখন ভেনেজুয়েলায়। সেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ২২২ দশমিক ৩০ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সুদানে মুদ্রাস্ফীতি ২২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। অপরদিকে লেবাননে ২০৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, সিরিয়ায় ১৩৯ শতাংশ, জিম্বাবুয়েতে ১৩১ দশমিক ৭ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় ৫৮ শতাংশ, ইরানে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ইথিওপিয়ায় ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন 

উপরে