বুরকিনা ফাসোয় বিস্ফোরণে ১৫ সেনা নিহত
![বুরকিনা ফাসোয় বিস্ফোরণে ১৫ সেনা নিহত](./assets/news_images/2022/08/10/blast-20220810122852.jpg)
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি ওৎ পেতে রাখা ইলেক্ট্রিক ডিভাইস বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনীর তরফে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেশটির মধ্য-উত্তরাঞ্চলের বাম প্রদেশের একটি গ্রামীণ সড়কে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলে প্রায়শই বেসামরিক লোক ও সেনা সদস্যরা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার স্বীকার হন। জানা গেছে, ২০১৫ সালের পর থেকে আল-কায়েদা ও আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে এ অঞ্চলে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, একটি এসকর্ট মিশনের সময় এই হামলা চালানো হয়। সেনাদের বহন করা একটি গাড়ি নামসিগুইয়া জেলার কাছে পৌঁছালে রাস্তার পাশে পুতে রাখা একটি ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। উদ্ধারকর্মী ও নিরাপত্তা অপারেশনে কাজ করা সেনারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আরও একটি ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বাম প্রদেশের আরেকটি অতর্কিত হামলায় চার সেনা ও নয়জন স্বেচ্ছাসেবক নিহত হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটলো।
দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার জেরে গত জানুয়ারিতে বিক্ষোভের পর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। গত জুন মাসে, পশ্চিম আফ্রিকান রাজ্যগুলোর একটি অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের (ইকোওয়াস) মধ্যস্থতাকারী বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ বুরকিনা ফাসোর মাত্র ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
মূলত ২০১৬ সাল থেকে বুরকিনা ফাসোয় সংকট শুরু হয়। ২০১১ সালে লিবিয়ার সরকার পতন, মালির ২০১২ সালের গৃহযুদ্ধ, এরপর মৌরিতানিয়া, নাইজার এবং চাদের মতো অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোতেও সংঘাত ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল বুরকিনা ফাসোর। তবে দেশটির রাজনীতির পট পরিবর্তন হয় ২০১৬ সালে রাজধানীর একটি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারীদের হামলায় ৩০ জন নিহত হওয়ার পর।
সূত্র: আল-জাজিরা
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন